এমপিওভুক্ত হচ্ছে আরো দেড় হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

নতুন করে এমপিওভুক্ত (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) হচ্ছে সারাদেশের আরো দেড় হাজার বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা। এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাবদ সরকারের ব্যয় হবে এক হাজার ২২৮ কোটি টাকারও বেশি।

২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের পর এমপিওভুক্ত এই শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতনভাতা পাবেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জাবেদ আহমেদ বলেন, এবার মোট এক হাজার ৫২৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হচ্ছে।

আগামী বাজেটের পর এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীরা অনলাইনে আবেদন করে এমপিওভুক্ত হবেন এবং নিয়মিত সরকারি বেতন-ভাতা পাবেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে জানা যায়, এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বাবদ এক হাজার ২৮ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে। এর মধ্যে স্কুল এবং কলেজের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে চাওয়া হয়েছে ৭৪৯ কোটি টাকা। বাকি টাকা মাদ্রাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করার জন্য চাওয়া হয়েছে।

জানা যায়, গত বছরের ৫ থেকে ২০ আগস্ট বেসরকারি স্কুল ও কলেজের কাছ থেকে অনলাইনে এমপিওভুক্তির আবেদন নেওয়া হয়। দেশের প্রায় ১০ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনলাইনে আবেদন করলেও এরমধ্যে যোগ্য প্রতিষ্ঠান পাওয়া গেছে খুবই কম।

নতুন এমপিও’র জন্য চারটি শর্ত দিয়ে আবেদন করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এই চারটি শর্ত হলো— প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাডেমিক স্বীকৃতির বয়স, শিক্ষার্থীর সংখ্যা, পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এবং পাসের হার।

যেসব প্রতিষ্ঠান এই শর্তগুলো পূরণ করেছে তাদের মধ্য থেকে স্বয়ংক্রিয় গ্রেডিংয়ের মাধ্যমে শীর্ষ এক হাজার ৫২৯টি প্রতিষ্ঠানকে এমপিও দেওয়ার জন্য বাছাই করা হয়।
এর আগে, ২০১০ সালে সর্বশেষ এক হাজার ৬২৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়। এরপর থেকে এ কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment